আরবি তারিখ সহ ২০২৬ সালের ইংরেজি ক্যালেন্ডার

আরবি তারিখসহ ২০২৬ সালের ইংরেজি ক্যালেন্ডার একসাথে দেখুন সহজ টেবিল আকারে। এই ক্যালেন্ডারে প্রতিটি মাসের ইংরেজি তারিখ, বার এবং ইসলামিক (হিজরি) তারিখ সুন্দরভাবে সাজানো আছে। নামাজ, রোজা, হজ বা অন্যান্য ইসলামী অনুষ্ঠান নির্ধারণের জন্য এটি অত্যন্ত সহায়ক।

মুসলিম ব্যবহারকারীরা এক নজরে ইংরেজি ও হিজরি সময়সূচি জানতে পারবেন। ২০২৬ সালের এই দ্বৈত ক্যালেন্ডার আপনার দৈনন্দিন জীবন ও ধর্মীয় পরিকল্পনা আরও সহজ ও সুশৃঙ্খল করবে।

মুসলিম সমাজের ধর্মীয় অনুশাসন পালন করতে গেলে উভয় ক্যালেন্ডারের সমন্বয় জানা প্রয়োজন। এই দুই তারিখের সঠিক তুলনা জানলে আমরা সময়ের সঠিক ব্যবহার ও ধর্মীয় সচেতনতা বজায় রাখতে পারি।ইংরেজি ক্যালেন্ডার সূর্যের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় স্থিতিশীল, আর হিজরি ক্যালেন্ডার চাঁদনির্ভর হওয়ায় সময় একটু ভিন্নভাবে ঘোরে।

১৪ এপ্রিল (মঙ্গলবার): পহেলা বৈশাখ – বাংলা নববর্ষ উদযাপন। এটি বাংলাদেশের জাতীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

এখানে ২০২৬ সালের জুলাই মাসের পূর্ণ ক্যালেন্ডার উল্লেখ করা হল,যেখানে প্রতি দিনের পাশে উল্লেখ আছে ইংরেজি তারিখ এবং আরবি (হিজরি) তারিখ। এই মাসে কোন সরকারি ছুটি নাই।

নিচে ২০২৬ সালের আগস্ট মাসের ক্যালেন্ডার দেওয়া হল, যেখানে প্রতি দিনের সঙ্গে আছে  ইংরেজি তারিখ ও আরবি (হিজরি) তারিখ।

সেপ্টেম্বর ২০২৬ মাসে কোনও জাতীয় বা ধর্মীয় সরকারি ছুটি নেই (প্রাথমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী)। নিচে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ক্যালেন্ডার দেওয়া হল।

২০২৬ সালের অক্টোবর মাসে ৩১ দিন আছে এবং এই মাসে বড় ধর্মীয় ছুটি হলো ২২ অক্টোবর  ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ)। নিচে ২০২৬ সালের অক্টোবর মাসের আরবি ক্যালেন্ডার দেওয়া হল।

ইংরেজি ক্যালেন্ডার আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়-স্কুল, অফিস, ব্যবসা, সরকারি কাজ, এমনকি প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও। এটি সৌরভিত্তিক ক্যালেন্ডার, অর্থাৎ সূর্যের গতিপথের উপর নির্ভর করে তৈরি।কিন্তু মুসলমানদের জন্য আরবি বা হিজরি ক্যালেন্ডারও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি চাঁদের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ইসলাম ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ সকল তারিখ ও ইবাদত,যেমন রমজান, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, আশুরা, হজ, মহররম, শবে বরাত, শবে কদর ইত্যাদি সবকিছু নির্ধারিত হয় হিজরি মাস ও তারিখ অনুযায়ী।

সুতরাং, মুসলমান হিসেবে আমাদের উচিত  ইংরেজি তারিখের পাশাপাশি আরবি তারিখ জানা ও ব্যবহার করা, যাতে ধর্মীয় সময় ও ইবাদতের সঠিক সময় নির্ধারণ করা যায়।এছাড়া ইসলামী ঐতিহ্য সংরক্ষণ, ইসলামী শিক্ষা ও ইতিহাসের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হিজরি ক্যালেন্ডার অপরিহার্য ভূমিকা রাখে।